বিরসা মুন্ডার মৃত্যুদিন
বিরসা মুন্ডার মৃত্যুদিন
![]() |
বিরসা মুন্ডার মৃত্যুদিন, ৯ জুন |
Birsa Munda's Death Anniversary
১৯০০ সালের ৯ই জুন। বিরসা মুন্ডা রাঁচি সেন্ট্রাল জেলে মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মুন্ডা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। বিচারে তাঁর ফাঁসির সাজা হয়। তাঁর আগেই জেলের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ব্রিটিশরা দাবি করে, তাঁর কলেরা হয়েছিল।সংক্ষিপ্ত জীবনী ও সংগ্রাম:
জন্ম: ১৫ নভেম্বর, ১৮৭৫ (ঝাড়খণ্ডের উলিহাতু গ্রামে)।আন্দোলন:
বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda) ছিলেন ভারতের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা ও জনজাতীয় বীর। তিনি ‘ধরতি আবা’ (পৃথিবীর পিতা) নামে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসন ও জমিদার-মহাজনদের শোষণ ও অত্যাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে ‘উলগুলান’ নামে এক ঐতিহাসিক বিদ্রোহের সূচনা করেন।
আন্দোলনের মূল লক্ষ্য:
আদিবাসীদের জমির অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন। বস্তুত, এই বিদ্রোহের মূল লক্ষ্য ছিল আদিবাসীদের জল, জঙ্গল ও জমির অধিকার রক্ষা করা এবং ব্রিটিশ শোষণের অবসান ঘটানো।
মৃত্যুর কারণ:
ব্রিটিশরা তাঁকে গ্রেফতার করে। ৯ জুন, ১৯০০ (মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাঁচি জেলে) কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয় (অনেকের মতে, বিষপ্রয়োগ বা টাইফয়েড)।
তবে, অনেক ঐতিহাসিক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, তাঁকে ব্রিটিশ সরকার বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছিল, কারণ তাঁর আন্দোলন ব্রিটিশ শাসনের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিরসা মুন্ডার স্মরণ:
- তাঁর সংগ্রাম ভারতের ‘জনজাতীয় অধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দেয়। তাঁর আত্মত্যাগ আজও ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সমগ্র দেশবাসীর কাছে এক অনুপ্রেরণা।
- ঝাড়খণ্ডের ‘বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর’ এবং তাঁর জন্মদিন ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসাবে পালিত হয়।
- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী অবদানের প্রতীক হিসাবে তাঁকে স্মরণ করা হয়।
গুরুত্ব:
বিরসা মুন্ডা কেবল যোদ্ধাই নন, তিনি আদিবাসী সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার ধারক ছিলেন। তাঁর জীবনী শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে। 🇮🇳
তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ‘বিরসা ভগবান’ বা ‘ধরতি আবা’ (পৃথিবীর পিতা) বলে মানতো। আদিবাসী সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূর করে এবং ধর্মীয় সংস্কারের মাধ্যমে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন