অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূসের জন্মদিন
অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূসের জন্মদিন :
Professor Muhammad Yunus's Birthday
১৯৪০ সালের ২৮ জুন। অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের জন্মদিন। তিনি একজন বাংলাদেশী সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ৮ ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি সেই সাতজন ব্যক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন গহনা ব্যবসায়ী।মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ১৯৬৯ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেন।
কর্মজীবন এবং ক্ষুদ্রঋণ ধারণা
১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর তিনি গ্রামীণ মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে উদ্যোগী হন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা গরিব মানুষদের ঋণ দিতে রাজি নয়, কারণ তাদের কাছে কোনো জামানত থাকে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৭৬ সালে তিনি চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেন, যা পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
গ্রামীণ ব্যাংকের মূলনীতি হল গরিব, বিশেষ করে নারীদের, জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া। এই ঋণের মাধ্যমে তারা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পারে। মুহাম্মদ ইউনূসের এই ক্ষুদ্রঋণ (microcredit) ধারণা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
গ্রামীণ ব্যাংকের মূলনীতি হল গরিব, বিশেষ করে নারীদের, জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া। এই ঋণের মাধ্যমে তারা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পারে। মুহাম্মদ ইউনূসের এই ক্ষুদ্রঋণ (microcredit) ধারণা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
পুরস্কার এবং সম্মাননা
১) নোবেল শান্তি পুরস্কার :
দারিদ্র্য বিমোচনে তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেন।২) অন্যান্য সম্মাননা :
নোবেল পুরস্কার ছাড়াও, তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০০৯) এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল (২০১০)।
তিনি বিশ্বের এমন সাতজন ব্যক্তির মধ্যে একজন, যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল—এই তিনটি সম্মানই পেয়েছেন।
------------xx-----------
রাজনৈতিক ভূমিকা (২০২৪)
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর, তৎকালীন সরকারের পতনের পর, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ সালে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মোট ২৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন, যার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরাও অন্তর্ভুক্ত। এই সরকার একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।------------xx-----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন