বিরল খনিজ কাকে বলে?
বিরল খনিজ কাকে বলে?
What is a rare mineral?
রাসায়নিক পর্যায় সারণির ল্যান্থানাইট ফ্রিজের সিরিজের ১৫ টি মৌল যাদের আণবিক সংখ্যা ৫৭ থেকে ৭১ তাদের ‘বিরল খনিজ মৌল’ বলা হয়।
এদের সঙ্গে রয়েছে আরও দুটো মৌল। স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম। এদের সবকটি মৌলই মাটিতে পাওয়া যায়।
এদের বিরল বলার কারণ হলো এদের প্রক্রিয়াকরণ খুবই জটিল। তাই সারা পৃথিবীতে এদের যোগান চাহিদার তুলনায় খুবই কম। পরিবেশগত নিয়মকানুন মেনে নিষ্কাশন আর পরিশোধন করতে উৎপাদনের খরচ খুবই বেড়ে যায়।
দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সমস্ত অত্যাধুনিক পণ্যেই এদের প্রয়োজন অপরিহার্য মোবাইল ফোন কম্পিউটার টেলিভিশন গাড়ি থেকে শুরু করে বিচিত্র সব পণ্যের মধ্যেই আছে চুম্বক। এই চুম্বকগুলি লোহা দিয়ে তৈরি নয়। এরা বিরল খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি। চিকিৎসার সরঞ্জাম সামরিক সরঞ্জাম যোগাযোগ প্রযুক্তি আর অপ্রচলিত শক্তি সবকিছুই নির্ভর করে এই বিশেষ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর যা বিরল খনিজ মৌল নামে পরিচিত।
পেট্রোলিয়াম পরিশোধনের জন্য ব্যবহৃত হয় সেরিয়াম।
পারমাণবিক চুল্লিতে নিউট্রনের ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে একমাত্র গেডোলিয়ামের জন্য ।
ইলেকট্রিক গাড়িতে প্রায় দু কেজি থেকে পাঁচ কেজি বিরল খনিজের চৌম্বক ব্যবহার করা হয়।
ব্যাটারির জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ গুলো হল লিথিয়াম, কোবাল্ট আর নিকেল।
ব্যাটারীতে বিদ্যুৎ অনেকক্ষণ সঞ্জিত রাখা হয় সিরিয়াম আর ল্যান্থানাম নামক বিরল খনিজ মৌলের সাহায্যে।
কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল ফোনের স্ক্রিন তৈরি হয় ইউরোপিয়াম ও ইট্রিয়াম দিয়ে।
বিভিন্ন ধরনের স্পিকার হেডফোন ও ইয়ারফোনে ব্যবহার করা হয় এক বিশেষ ধরনের চুম্বক যাতে শব্দটা শ্রুতি মধুর বলে মনে হয়। এই চৌম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিওডিয়াম আর ডিস্প্রেসিয়াম।
বাধাহীন ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হয় আর্বিয়াম।
উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের যানবাহন স্পিড সেন্সর ্যাডার সিস্টেম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটে ব্যবহার করা হয় যে চৌম্বক তার নাম সামারিয়াম কোবাল্ট চৌম্বক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন