মে ডে কল কী?

‘মে ডে কল’ কী?

What is the ‘May Day Call’?

মে ডে কল’ হল একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিপদসংকেত, যা রেডিও ডিসট্রেস সিগন্যালের মাধ্যমে পাঠানো হয় ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমে। সাধারণত বিমান বা নৌযানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এই রেডিও সিগনাল, যখন সেগুলো মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হয় এবং তাৎক্ষণিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়।

অর্থাৎ ‘মে ডে কল’ হল একটি জরুরি রেডিও সংকেত বা বার্তা, যা সাধারণত বিমান, জাহাজ বা অন্যান্য পরিবহন মাধ্যম থেকে জরুরি সহায়তার জন্য প্রেরণ করা হয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সংকেত এবং যা জীবন-মরণ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়।

‘মে ডে কল’-এর উৎপত্তি:

'মে ডে' শব্দটি ফরাসি শব্দ ‘m’aider’ (মে দে) থেকে এসেছে, যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন” (“help me”)। ১৯২০-এর দশকে লন্ডনের ক্রয়ডন বিমানবন্দরের সিনিয়র রেডিও অফিসার ফ্রেডরিক স্ট্যানলি মকফোর্ড এই শব্দটি উদ্ভাবন করেন, কারণ বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে "SOS" বা অন্যান্য শব্দ স্পষ্ট শোনা যেত না। তিনিই মেড এ কল প্রথম ব্যবহার করেন।

‘মে ডে কল’-এর ব্যবহার: 

ব্যবহারের নিয়ম :

এটি তিনবার বলা হয়—যেমন "মে ডে, মে ডে, মে ডে" —যাতে অন্য রেডিও বার্তার ভিড়েও এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়। কোন পাইলট এই সিগনাল দেয়ার অর্থ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অন্য যেকোনো সিগন্যালের আগে একে গুরুত্ব দেবেন।

কখন ব্যবহার করা হয়?

  1. বিমান বা জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হলে।
  2. নিয়ন্ত্রণ হারালে বা ধ্বংসের আশঙ্কা থাকলে।
  3. চিকিৎসা জরুরি অবস্থা (যেমন হার্ট অ্যাটাক)।

‘মে ডে কল’-এর গুরুত্ব :

যখন কোনো বিমান বা জাহাজের পাইলট বা ক্যাপ্টেন 'মে ডে কল' পাঠান, তখন এটি বোঝায় যে, যানটি এবং এর আরোহীরা জীবন-হুমকির মুখে রয়েছে এবং অবিলম্বে সাহায্যের প্রয়োজন। এই সংকেত পাঠানোর সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে অন্যান্য সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিপদ বার্তাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

মে ডে কলের উদ্দেশ্য: 

‘মে ডে কল’-এর প্রধান উদ্দেশ্য হল দ্রুত জরুরি পরিষেবাগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং বিপদগ্রস্ত যানটির অবস্থান, বিপদের ধরন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যের বিষয়ে তথ্য জানানো, যাতে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো যায়।

উদাহরণ :

“Mayday, Mayday, Mayday! This is MV Samudra. Our ship is sinking at 20°N 80°E. Need immediate assistance!”

আজ ২০২৫ সালের ১২ জুন আমেদাবাদের সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে টেক-অফের পর ৪০ সেকেন্ডের মাথায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার  ড্রিমলাইনার বিমান। ফ্লাইট নাম্বার এ আই ১৭১। এদিন দুপুর একটা ৩৮ মিনিটে টেক-অফের পর বিমানটি ভেঙে পড়ার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে বিমানের কমান্ডার পাইলট সুমিত সাবারওয়াল এবং ফাস্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর জরুরি সাহায্য চেয়ে ‘মে-ডে কল’ করেন।

অন্যান্য জরুরি সংকেত :

- ‘Pan-Pan’ : জরুরি কিন্তু জীবনহানির আশঙ্কা নেই (যেমন জ্বালানি কম)।
- ‘SOS’: মোর্স কোডে জরুরি সংকেত (··· ––– ···)।
------------xx-----------

মন্তব্যসমূহ

🔰 ব্যক্তি অনুযায়ী তথ্য খুঁজুন : 🔍

আরও দেখান

🔰 বিষয় অনুযায়ী তথ্য খুঁজুন :🔍

আরও দেখান

🔰 তথ্য তালাশ : জনপ্রিয় ব্যক্তি ও বিষয়গুলো দেখুন:

উসেইন বোল্ট, ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড

শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ পাড়ি

ভারতের জাতীয় প্রতীকের নকশাকার

প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার-এর জন্মদিন

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মদিন

আন্তর্জাতিক সাইকেল দিবস

জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ

বিরসা মুন্ডার মৃত্যুদিন

চে গেভারার জন্মদিন

তথ্য তালাশ : অনলাইন সংকলন

আলী হোসেন, লেখক,
তথ্য তালাশ
সুপ্রিয় পাঠক,

তথ্য তালাশ-এর অনলাইন সংকলনে আপনাকে স্বাগত। 

প্রতিদিন, প্রতি নিয়ত বিশ্বজুড়ে ঘটে চলেছে নানান ঘটনা। কিছু বিখ্যাত, কিছু অখ্যাত, আবার কিছু কুখ্যাতও। এই সব হরেক ঘটনার মধ্যে থাকে এমন কিছু ঘটনা, যা মানুষ মনে রাখতে চায়, চায় স্মরণ করতে।

তথ্য তালাশ সেই লক্ষ্য নিয়েই তৈরি। যেহেতু এটি ডিজিটাল ফরম্যাটে তৈরি, তাই যখনই প্রয়োজন পড়বে, আপনার হাতের মোবাইলে হাত রাখলেই আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের মত সামনে হাজির হবে তথ্য তালাশ

আপনি কি পড়তে চান এই সংকলনটি! ক্লিক করুন এখানে