ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বাজারজাত করা হয়
‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’(www ) বাজারজাত করা হয় :
The World Wide Web is marketed
১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট। জেনেভার সার্ন কোম্পানি সর্বপ্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web) বাজারে নিয়ে আসে। ১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ টিম বার্নার্স লি এটি তৈরি বা আবিষ্কার করেছিলেন। এটি মূলত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে অ্যাক্সেস করা ইন্টারলিঙ্কড হাইপারটেক্সট ডকুমেন্টগুলোর একটি গ্লোবাল সিস্টেম। ওয়েবকে প্রায়শই "দ্য ওয়েব" বলা হয়। এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web) :
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW বা W3) হল একটি বৈশ্বিক তথ্য ব্যবস্থা যেখানে ডকুমেন্টগুলো হাইপারটেক্সট বা হাইপারমিডিয়া হিসেবে সংরক্ষিত থাকে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা যায়। এটি ইন্টারনেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত পরিসেবা।WWW-এর ইতিহাস :
আবিষ্কারক:স্যার টিম বার্নার্স-লি (Tim Berners-Lee) ১৯৮৯ সালে CERN (ইউরোপীয় নিউক্লিয়ার রিসার্চ অর্গানাইজেশন) গবেষণাগারে এটি প্রস্তাব করেন।
প্রথম ওয়েবসাইট:
প্রথম ওয়েবসাইট:
১৯৯১ সালে CERN-এ চালু হয়, যার ঠিকানা ছিল http://info.cern.ch
উদ্দেশ্য:
উদ্দেশ্য:
বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য সহজে আদান-প্রদানের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করা।
কীভাবে কাজ করে?
১. ওয়েব সার্ভার (Web Server):
এটি এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা ওয়েব পেজ বা অন্যান্য ফাইল সরবরাহ করে। যখন আপনি একটি ওয়েব পেজ ভিজিট করতে চান, তখন আপনার ব্রাউজার ওয়েব সার্ভারে একটি অনুরোধ পাঠায়, এবং সার্ভার সেই অনুরোধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে পেজটি পাঠিয়ে দেয়।
২. HTTP (HyperText Transfer Protocol):
ওয়েব সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট (ব্রাউজার) এর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের নিয়ম। অর্থাৎ এটি একটি প্রোটোকল বা নিয়ম যা ওয়েব সার্ভার এবং ব্রাউজারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. HTML (HyperText Markup Language):
ওয়েবপেজ তৈরির জন্য ব্যবহৃত মার্কআপ ভাষা। এটি একটি মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ যা ওয়েব পেজ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। HTML ডকুমেন্টগুলো টেক্সট, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য মিডিয়ার কাঠামো নির্ধারণ করে।
৪. URL (Uniform Resource Locator):
ওয়েবের প্রতিটি রিসোর্সের ইউনিক ঠিকানা যেমন: https://www.itihasten.blogspot.com এটি ওয়েব পেজ বা অন্য কোনো রিসোর্সের ঠিকানা। এটি ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিটি ফাইলকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে। উদাহরণস্বরূপ, 'https://www.google.com' হলো গুগলের হোম পেজের ইউআরএল।
৫. ওয়েব ব্রাউজার:
এটি একটি অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীদের ওয়েব পেজ দেখতে, নেভিগেট করতে এবং অন্যান্য ওয়েব কন্টেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে রয়েছে গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, মাইক্রোসফট এজ এবং সাফারী। ব্যবহারকারীকে ওয়েবপেজ দেখতে ও অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে।
২. ডিপ ওয়েব: সার্চ ইঞ্জিন প্রাইভেট ডেটা (যেমন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল)।
৩. ডার্ক ওয়েব: অ্যানোনিমিটি বজায় রাখতে বিশেষ সফটওয়্যার (Tor) প্রয়োজন, অপরাধমূলক কার্যক্রম
- ই-কমার্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ক্ষেত্রে transformative ভূমিকা রাখে।
- সামাজিক মাধ্যম ও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ভাবে সংযুক্ত করেছে।
- সাইবার অপরাধ: হ্যাকিং, ফিশিং, malware等।
- মিথ্যা তথ্য: Fake news এবং misinformation的প্রসার।
- ডিজিটাল বিভাজন: উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস
- মেটাভার্স: ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সাথে ওয়েব integrated হওয়ার
- ব্লকচেইন প্রযুক্তি: Decentralized ওয়েব (DWeb) এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা changes.
ওয়েবের প্রকারভেদ :
১. সারফেস ওয়েব: সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা অ্যাক্সেসযোগ্য ওয়েবপেজ (যেমন: Wikipedia, news sites)।২. ডিপ ওয়েব: সার্চ ইঞ্জিন প্রাইভেট ডেটা (যেমন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল)।
৩. ডার্ক ওয়েব: অ্যানোনিমিটি বজায় রাখতে বিশেষ সফটওয়্যার (Tor) প্রয়োজন, অপরাধমূলক কার্যক্রম
ওয়েবের গুরুত্ব :
- তথ্য ও যোগাযোগের বিপ্লব ঘটিয়েছে।- ই-কমার্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ক্ষেত্রে transformative ভূমিকা রাখে।
- সামাজিক মাধ্যম ও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ভাবে সংযুক্ত করেছে।
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা :
- গোপনীয়তা ঝুঁকি: ডেটা সংগ্রহ ও নজরদারির সমস্যা।- সাইবার অপরাধ: হ্যাকিং, ফিশিং, malware等।
- মিথ্যা তথ্য: Fake news এবং misinformation的প্রসার।
- ডিজিটাল বিভাজন: উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস
ভবিষ্যৎ :
- Web 3.0: সেমান্টিক ওয়েব (Semantic Web) এবং AI-ভিত্তিক experience- মেটাভার্স: ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সাথে ওয়েব integrated হওয়ার
- ব্লকচেইন প্রযুক্তি: Decentralized ওয়েব (DWeb) এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা changes.
উপসংহার:
‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ আধুনিক সভ্যতার এমন এক প্রযুক্তি, যা মানবজাতিকে একে অপরের সঙ্গে virtually সংযুক্ত করেছে। তবে এর responsible ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো একটি বিশাল তথ্য ভান্ডার, যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দেয়। এটি আধুনিক বিশ্বের তথ্য আদান-প্রদান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।--------xx-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন