শম্ভু মিত্রের জন্মদিন
শম্ভু মিত্রের জন্মদিন :
Shambhu Mitra's Birthday
১৯১৫ সালের ২২ আগস্ট। শম্ভু মিত্রের জন্মদিন। তিনি ছিলেন বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের এক কিংবদন্তি নাট্য ব্যক্তিত্ব, স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৩৯ সালে তিনি বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চে যোগ দেন। পরে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন নাট্যসংস্থা বহুরূপী। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বহুরূপীর প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সফোক্লিস, হেনরিক ইবসেন, তুলসী লাহিড়ী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নাট্যকারের রচনা তার পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয়।শম্ভু মিত্রের স্ত্রী তৃপ্তি মিত্র ও কন্যা শাঁওলী মিত্রও স্বনামধন্য মঞ্চাভিনেত্রী। শাঁওলি মিত্রের নাট্যসংস্থা পঞ্চম বৈদিকের সঙ্গে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন শম্ভু মিত্র।
তাঁর পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল নবান্ন, দশচক্র, রক্তকরবী, রাজা অয়দিপাউস ইত্যাদি। তাঁর রচিত নাটকের মধ্যে চাঁদ বণিকের পালা সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৬ সালে নাটক ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ম্যাগসেসে পুরস্কার ও ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
১৯৪৮ সালে শম্ভু মিত্র তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি মিত্র, কালী সরকার ও অন্যান্যদের সাথে ‘বহুরূপী’ নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন। এই নাট্যগোষ্ঠীর মাধ্যমে তিনি বাণিজ্যিক থিয়েটারের বাইরে এক বিকল্প নাট্যধারার জন্ম দেন, যা ‘নান্দনিক থিয়েটার’ বা ‘নবনাট্য আন্দোলন’ নামে পরিচিতি লাভ করে। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল নাটকের বিষয়বস্তু, শৈলী এবং উপস্থাপনায় নতুনত্ব আনা।
শম্ভু মিত্রের নাট্যচিন্তা ও অবদান
বিষয় বৈচিত্র্য:
শম্ভু মিত্র তাঁর নাটকে সমসাময়িক সমাজের বিভিন্ন সংকট, মানব চরিত্রের জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অস্তিত্বের সংকটকে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর বিখ্যাত নাটকগুলির মধ্যে ‘ছেঁড়া তার’, ‘রক্তকরবী’, ‘চার অধ্যায়’, ‘চাঁদবণিকের পালা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অভিনয় শৈলী:
তিনি অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন ঘরানা তৈরি করেন। তাঁর অভিনয় ছিল বাহুল্যবর্জিত, সূক্ষ্ম এবং গভীর। তাঁর বিশ্বাস ছিল, একজন অভিনেতাকে তার চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করতে হবে এবং সেই চরিত্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
নির্দেশনা:
একজন পরিচালক হিসেবে তিনি নাটকের প্রতিটি অংশে নিখুঁত ভারসাম্য বজায় রাখতেন। মঞ্চসজ্জা, আলোকসম্পাত, সংগীত এবং অভিনয়—সবকিছুই তাঁর নির্দেশনায় এক সুতোয় বাঁধা থাকত। রবীন্দ্র-নাটক মঞ্চায়নেও তাঁর অবদান অনবদ্য। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ নাটকটিকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে মঞ্চে এনেছিলেন, যা আজও প্রশংসিত হয়।
নাট্যশিক্ষক:
তিনি বহু তরুণ নাট্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে নাটকের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা তৈরি করেছেন। তাঁর হাত ধরে বহু প্রতিভাবান অভিনেতা ও পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা পরবর্তীকালে বাংলা থিয়েটারকে সমৃদ্ধ করেছেন।
মূল্যায়ন
শম্ভু মিত্রের কাজের প্রধান দিকটি ছিল থিয়েটারকে শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে না দেখে সমাজের দর্পণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তিনি থিয়েটারকে মানুষের ভাবনার খোরাক জোগানোর একটি শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলা থিয়েটার বাণিজ্যিকতার গণ্ডি পেরিয়ে শিল্পসম্মত এবং মননশীলতার দিকে পা বাড়ায়। আজও তাঁর কাজ বাংলা নাট্য আন্দোলনের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হয়।
তাঁর কর্মজীবন এবং অবদান আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
--------xx-------
১. নাট্য দর্শন ও বিষয়বস্তুর পরিবর্তন:
ব্রেশ্টীয় প্রভাব:
শম্ভু মিত্র ছিলেন ভারতীয় নাট্য জগতে বার্টোল্ট ব্রেশ্টের 'এপিক থিয়েটার' ধারণার অন্যতম প্রধান প্রবক্তা ও ব্যবহারকারী। তিনি দর্শককে কেবলমাত্র আবেগে সঁপে দিয়ে রাখতে চাননি, বরং চেয়েছেন তারা যেন চিন্তা করে, বিশ্লেষণ করে। এই 'অনভিূতির দূরত্বকরণ' (Alienation Effect) পদ্ধতি বাংলা নাটকে এক নতুন দর্শনের জন্ম দেয়।
সমাজসচেতন নাট্য:
তিনি নাট্যকে মনের娱乐 মাত্রা থেকে তুলে এনে把它 সমাজ-বাস্তবতা ও রাজনৈতিক চেতনার হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন। তাঁর নির্দেশিত নাটকগুলি, বিশেষ করে 'নবান্ন', 'দশচক্র', 'রক্তকরবী' বা 'রাজা' ইত্যাদি,当时的社会政治 প্রেক্ষাপটকে powerfully ফুটিয়ে তুলত এবং দর্শককে গভীর চিন্তায় নিমজ্জিত করত।
২. অভিনয় ও নির্দেশনায় নতুন ধারা:
* **অভিনয়ের কাঠামো:
শম্ভু মিত্র অভিনয়কে一种 শিল্পের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি instinct-এর উপর নির্ভরশীল অভিনয়ের বদলে systematic, well-researched এবং technically sound অভিনয় পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। প্রতিটি চরিত্রের প্রতি他的 commitment এবং psychological depth অনন্য ছিল।
* **নির্দেশনা sebagai শিল্প:
তিনি নাট্য নির্দেশনাকে কেবল একটি coordination的工作 না বলে把它 একটি স্বতন্ত্র ও সৃজনশীল শিল্পমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর নির্দেশনা ছিল meticulous, detail-oriented এবং profoundly interpretative.
৩. বহুরূপী নাট্যদল ও institutional contribution:
* **বাণিজ্যিক নাটকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ:
প্রচলিত বাণিজ্যিক, star-oriented এবং often frivolous নাটকের বিরুদ্ধে他和他 wife তৃপ্তি মিত্র的带领下 যে বিদ্রোহ的 সূচনা করেন, তাই বাংলা নাট্য আন্দোলনের的核心。
একটি collective-的 প্রতিষ্ঠান: ‘বহুরূপী' ছিল একটি cooperative venture, যেখানে star system-এর বদলে collective effort এবং ensemble acting-কে প্রাধান্য দেওয়া হত। এটি নাট্যকর্মীদের একটি নতুন ধরনের workspace এবং ideology দিয়েছিল।
৪. নাট্য-সংস্কৃতির প্রসার:
দর্শক সম্প্রসারণ:
শম্ভু মিত্র কলকাতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে নাটক নিয়ে গেছেন district-এর শহরেও,从而 educated middle-class-এর বাইরেও নাটকের一种 নতুন দর্শকশ্রেণি সৃষ্টি করেছেন।
নাটকের literary মান:
তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজন ভট্টাচার্য, উৎপল দত্ত প্রমুখ的重要 playwright-দের কাজ করেছেন এবং সেগুলিকে一种 নতুন interpretation与 life দিয়েছেন। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের নাটক মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে他那些被认为 'unstageable'的剧本কে মঞ্চে জীবন্ত করে তোলেন।
৫. lasting legacy:
তিনি কেবল একটি নাট্যদলই গড়ে তোলেননি, তিনি গড়ে তুলেছিলেন一种 tradition,一种 school of thought। উৎপল দত্ত, rudraprasad Sengupta,乃至 পরবর্তী প্রজন্মের数不清的 নাট্যকর্মী তাঁর ideology ও artistic commitment দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
উপসংহার:
বাংলা নাট্যকে আধুনিক, relevant, intellectually stimulating এবং socially committed art form হিসেবে গড়ে তোলার পিছনে শম্ভু মিত্রের ভূমিকা was paramount। তিনি ছিলেন一位 visionary,一位 reformer এবং一位 uncompromising artist। বাংলা নাট্য আন্দোলনকে তিনি gave a direction, a purpose and a soul। তাই আজও তিনি বাংলা theatre-এর一座 lighthouse হিসেবে আছেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন