আম্পায়ার স্টিভ বাকনারের জন্মদিন
আম্পায়ার স্টিভ বাকনারের জন্মদিন
Umpire Steve Buckner's birthday
১৯৪৬ সালের ৩১ মে স্টিভ বাকনার জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১২৮টি ‘টেস্ট ক্রিকেট’ ও ১৮১টি ‘এক দিনের ম্যাচে’ আম্পায়ারিং করেছেন।মজার কথা, আম্পায়ার হওয়ার আগে তিনি ক্রিকেটার নয়, ফুটবল খেলোয়াড় হিসাবে জীবন শুরু করেছিলেন। সেখানে রেফারিংও করেছিলেন।
স্টিভ বাকনার (Steve Bucknor) একজন প্রখ্যাত ও সম্মানিত ক্রিকেট আম্পায়ার, যিনি তার দীর্ঘ ও বিশিষ্ট কর্মজীবনের জন্য পরিচিত।
স্টিভ বাকনারের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :
স্টিভ বাকনারের জন্ম:
স্টিভ বাকনারের জন্ম ৩১ মে, ১৯৪৬, জ্যামাইকার মন্টিগো বে শহরে। তাঁর পুরো নাম স্টিফেন অ্যান্থনি বাকনার। কিন্তু তিনি সমগ্র বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি স্টিভ বাকনার নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
স্টিভ বাকনারের কর্মজীবন :
১) প্রাথমিক কর্মজীবন :
তিনি প্রথম জীবনে একজন গণিত শিক্ষক, ফুটবল রেফারি এবং কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ফুটবল বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের মতো বড় ইভেন্টেও রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
২) আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার:
তিনি ১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে প্রায় ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন।একসময় তিনিই ছিলেন টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আম্পায়ারিং করা ব্যক্তি, যা ২০১৯ সালে আলিম দার ভেঙে দেন।
টেস্ট ম্যাচ: ১২৮ টি (রেকর্ড সংখ্যক at the time of retirement in 2009).
একদিনের ম্যাচ : ১৮১ টি। এর মধ্যে পাঁচটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে (১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭)
বিশেষত্ব: তাঁর ধীরগতি কিন্তু আত্মবিশ্বাসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তাঁকে ‘Slow Death Bucknor’ পরিচিত করে তোলে।
৩) বিতর্কিত ক্যারিয়ার :
তাঁর দীর্ঘ এবং প্রশংসিত ক্যারিয়ারের পাশাপাশি কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্যেও তিনি পরিচিত। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে তিনি বিতর্কিত ছিলেন
শচীন টেন্ডুলকারের বিরুদ্ধে তার বেশ কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। এদের মধ্যে ২০০৩ সালের গাব্বা টেস্টে এবং ২০০৫ সালের ইডেন গার্ডেন্সে শচীনকে ভুলভাবে আউট দেওয়ার ঘটনাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে তিনি নিজেই এই ভুলগুলোর জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেছেন।
২০০৮ সালের সিডনি টেস্টে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হন, যা পরে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অবসানকে ত্বরান্বিত করে।
৪) সম্মাননা:
২০১০ সালে ‘আইসিসি হল অফ ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হন।জ্যামাইকা সরকার কর্তৃক ‘অর্ডার অব জ্যামাইকা’(Order of Jamaica’) সম্মানে ভূষিত।
স্টিভ বাকনারের অবদান :
স্টিভ বাকনার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ও দীর্ঘস্থায়ী আম্পায়ার হিসেবে স্মরণীয়। তবে তাঁর আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার একদিকে যেমন উজ্জ্বল সাফল্যের সাক্ষী, তেমনই কিছু আলোচিত ভুলের জন্য সমালোচিতও হয়েছে।
--------xx-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন