অ্যানে ফ্রাঙ্কের জন্মদিন
অ্যানে ফ্রাঙ্কের জন্মদিন
১৯২৯ সালের ১২ই জুন। অ্যানে ফ্রাঙ্কের জন্মদিন। তিনি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। জার্মানি নেদারল্যান্ডস দখল করার পরে নাৎসিদের থেকে লুকিয়ে থাকার সময় তিনি একটি ডাইরি লেখেন। এই ডায়েরির লেখার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেনজন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
- অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম : ১৯২৯ সালের ১২ই জুন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পরিবার : তাঁর বাবা ছিলেন অটো ফ্রাঙ্ক এবং মা ছিলেন এডিথ ফ্রাঙ্ক। তাঁর একটি বড় বোন ছিল, যার নাম মার্গোট ফ্রাঙ্ক।
নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়
- জার্মানি ত্যাগ : ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির ক্ষমতা দখল করে। ফলে ইহুদিদের উপর অত্যাচার শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে অ্যানের পরিবার জার্মানি ছেড়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে চলে আসতে বাধ্য হন।।
- হিটলারের জার্মানি দখল : ১৯৪০ সালে জার্মানি নেদারল্যান্ডস দখল করে নেয়। সেই সূত্রে সেখানেও ইহুদিদের উপর নতুন করে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করা হয়।
- আত্মগোপন : ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে, অ্যানের দিদি মার্গোটকে একটি শ্রমশিবিরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময় অ্যানের পরিবার এবং আরও চারজন ইহুদি ব্যক্তি আমস্টারডামের একটি গোপন অ্যানেক্সে (Secret Annex) আত্মগোপন করে। এই অ্যানেক্সটি ছিল অ্যানের বাবার অফিসের একটি গোপন অংশ।
অ্যানে ফ্রাঙ্কের ডায়েরি:
📕 আত্মগোপন করার সময় অ্যান তাঁর ত্রয়োদশ জন্মদিনে একটি ডায়েরি উপহার পেয়েছিলেন। এই ডায়েরিটির নাম ছিল ‘কিটি’ (Kitty)।📕 অ্যান এই ডায়েরিতে তাঁর দৈনন্দিন জীবন, অনুভূতি, ভয় এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা লিখে রাখতেন। তাঁর লেখাগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের জীবনযাত্রার একটি মর্মস্পর্শী চিত্র তুলে ধরে।
ধরা পড়া এবং মৃত্যু:
🧿 দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৪৪ সালের ৪ঠা আগস্ট জার্মান পুলিশ গোপন অ্যানেক্সটির সন্ধান পায় এবং সেখানে আত্মগোপনকারী সকলকে গ্রেপ্তার করে।🧿 অ্যান এবং তাঁর বোন মার্গোটকে প্রথমে আউশভিৎজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এবং পরে বার্গেন-বেলসেন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
🧿 ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে, টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যান ফ্রাঙ্ক বার্গেন-বেলসেন ক্যাম্পে মারা যান। তাঁর বোন মার্গোটও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ডায়েরির প্রকাশনা:
📍যুদ্ধের পর অ্যানের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক, যিনি হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন, অ্যানের ডায়েরিটি খুঁজে পান।📍অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি ১৯৪৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে ‘দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল’ (The Diary of a Young Girl) নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে। এটি পরবর্তীতে ‘অ্যানে ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’ নামে প্রকাশিত হয়
📍এই ডায়েরিটি বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত বইগুলির মধ্যে একটি এবং এটি হলোকাস্টের ভয়াবহতা এবং মানবাত্মার অদম্য ইচ্ছার এক শক্তিশালী প্রতীক।
স্মরণীয় :
অ্যান ফ্রাঙ্ক তাঁর ডায়েরির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন এবং তার জীবন এবং লেখা আজও মানুষকে সহমর্মিতা, সাহস এবং মানবতাবাদের শিক্ষা দেয়।----------xx--------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন