নাসার প্রতিষ্ঠা দিবস
নাসার প্রতিষ্ঠা দিবস।
NASA Foundation Day
১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (National Aeronautics and Space Administration) অথবা নাসা (NASA) প্রতিষ্ঠিত হয়। নাসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের একটি স্বাধীন সংস্থা, যা বিমানচালনাবিদ্যা (aeronautics) এবং মহাকাশ (space) সম্পর্কিত গবেষণা ও কার্যক্রমে নিয়োজিত।নাসার প্রতিষ্ঠা:
১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট’ এর অধীনে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বসূরি ছিল ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স (NACA)। সোভিয়েত ইউনিয়নের স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পর মহাকাশ প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে এই সংস্থা তৈরি করা হয়।
নাসার সদর দপ্তর:
ওয়াশিংটন, ডি.সি., মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নাসা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য:
সোভিয়েত ইউনিয়নের স্পুটনিক উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই ছিল নাসার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান কারণ। এর মূল লক্ষ্য হলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশ অনুসন্ধান এবং বিমানচালনা ও মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করা।
নাসার উল্লেখযোগ্য অর্জন:
🧿 অ্যাপোলো চন্দ্রযাত্রা:
চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রকল্প। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন প্রথম চাঁদে পা রাখেন। নতুন প্রযুক্তি উন্নয়ন যেমন: আর্টেমিস প্রোগ্রাম, যা মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাবে।
🧿 স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন।
🧿 স্পেস শাটল প্রোগ্রাম:
বহুবার ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ব্যবস্থা।
🧿 আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station - ISS):
এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত পাঁচটি প্রধান সংস্থার মধ্যে অন্যতম।
বিভিন্ন গ্রহ ও মহাকাশ অভিযান:
🔘 মার্স রোভার:
মানববিহীন মহাকাশযান ও রোভার মিশন যেমন: পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গল রোভার পরিচালনা করে। মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান ও ভূতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য সেখানে রোভার পাঠানো (যেমন পার্সিভারেন্স, কিউরিওসিটি) পাঠানো হয়।
🔘 ভয়েজার মিশন:
সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করা।
🔘 উপগ্রহ ও টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ :
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো সহ সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ এবং গভীর মহাকাশের বস্তু নিয়ে অসংখ্য গবেষণা ও অভিযান পরিচালনা করে।
বর্তমান কার্যক্রম:
নাসা বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে মানব অভিযান, চাঁদে আর্টেমিস প্রোগ্রাম, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বের গভীর অনুসন্ধান, পৃথিবীর জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, এবং নতুন নতুন বিমানচালনা প্রযুক্তির বিকাশের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করছে।
নাসা মহাকাশ অনুসন্ধান, বিজ্ঞান গবেষণা এবং নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী সংস্থা। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সাথে সহযোগিতা করে এবং মহাকাশ গবেষণায় মানবজাতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।
-------------xx-----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন