সংরক্ষণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
সংরক্ষণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ :
Supreme Court's observations on reservation
“কলকাতা হাইকোর্ট কী যুক্তিতে এইভাবে ওবিসি তালিকা স্থগিত করল? সংরক্ষণ তো একান্তভাবেই প্রশাসনিক কাজ। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।”
এই শুনানিতে অংশ নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল দাবি করেন, “ওবিসি শংসাপত্রের বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলার জন্য ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আটকে আছে। সব প্রমোশন বন্ধ। উচ্চশিক্ষায় নলক্ষ আসনে ছাত্র ভর্তি করতে হবে, সেটাও আটকে আছে। আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে অবমাননার মামলাও দায়ের হয়েছে। ফলে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
রাজ্য সরকারের এই মামলার বিরুদ্ধে মামলাকারীদের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বলেন, “রাজ্য আইন মেনে পদক্ষেপ করেনি। ওদের আইনজীবীর শীর্ষ আদালতে বলেছিলেন, রাজ্য সরকার নতুন করে সার্ভে করবে। নতুন সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। এরা সঠিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণী নির্ধারণ করেনি। ব্যাকওয়ার্ড কমিশনের সুপারিশ ও মানেনি রাজ্য সরকার।”
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কপিল শিব্বাল বলেন, “কমিশন তাদের কাজ করেছে। কিন্তু আদালতে সঠিক তথ্য দেয়া হচ্ছে না।”
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্য কমিশন কোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ওবিসি তালিকা তৈরি করেছে। তা সঠিক কিনা সে বিষয়ে হাইকোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু একেবারে গোড়া থেকেই তালিকাটি স্থগিত রাখা প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে না। তাই কলকাতা হাইকোর্টের ১৭ জুনের স্থগিতাদেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।”
দুপক্ষের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নোটিশ জারি করে জবাব করেছে সুপ্রিমকোর্ট। দুই সপ্তাহ পরে আবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের জুন মাসের নতুন ওবিসি তালিকার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে গত বছর মে মাসে হাইকোর্ট ২০১০ এর পর থেকে যাঁদের ওবিসি শংসাপত্র দেয়া হয়েছিল তা বাতিলের নির্দেশ দেয়।
সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলারই শুনানি হয় আজ। এবং সুপ্রিম কোর্ট সেখানে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেন।
------------xx-----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন