গ্রিসের মহিলারা প্রথম ভোটাধিকার পান

১৯৫২ সালের ২৮ মে। গ্রিসের মহিলারা প্রথম ভোটাধিকার পেলেন।

গ্রিসে নারীদের ভোটাধিকারের ইতিহাস বেশ আকর্ষণীয়। ১৯৫২ সালে গ্রিসের নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার লাভ করে। এটি গ্রিক নারীদের জন্য একটি বড় মাইলফলক ছিল, যদিও অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় এটি কিছুটা দেরিতেই ঘটে।

গ্রিসে নারীদের ভোটাধিকারের দাবি ১৯শ এবং ২০শ শতকের শুরু থেকেই বিভিন্ন নারী সংগঠন এবং প্রগতিশীল গোষ্ঠীর দ্বারা উত্থাপিত হচ্ছিল। তবে, রাজনৈতিক ও সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে এই অধিকার প্রাপ্তিতে সময় লেগেছিল। ১৯৫২ সালের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে গ্রিক নারীরা সম্পূর্ণ ভোটাধিকার পায়, যা স্থানীয় ও জাতীয় উভয় নির্বাচনে প্রযোজ্য ছিল।

এই পরিবর্তনটি গ্রিসের গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে এবং নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করে।

তবে মনে রাখা দরকার, গ্রিসে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির বিষয়টি একবারে ঘটেনি, বরং এটি একটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়া ছিল।

১৯৩০ সাল: গ্রিক মহিলারা প্রথম সীমিত আকারে ভোটাধিকার পান। এই অধিকারটি ছিল শুধুমাত্র শিক্ষিত মহিলাদের জন্য এবং তা শুধুমাত্র পৌরসভা নির্বাচনে (স্থানীয় নির্বাচনে) প্রযোজ্য ছিল। তাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি হতে হতো এবং তাদের অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করতে হতো।

১৯৫২ সাল: অবশেষে, ১৯৫২ সালের ২৮শে মে, গ্রিক মহিলারা পুরুষদের সমান পূর্ণাঙ্গ ভোটাধিকার লাভ করেন। এর ফলে তাঁরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার এবং প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর অধিকার পান। এই আইনটি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালের নভেম্বরে, যেখানে মহিলারা প্রথমবারের মতো ভোট দেন। তবে, কিছু সূত্রমতে, প্রথম যে নির্বাচনে মহিলারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, সেটি ছিল ১৯৫৬ সালের নির্বাচন।

সুতরাং, গ্রিসে মহিলাদের জন্য পূর্ণ ভোটাধিকারের পথটি ছিল দীর্ঘ এবং পর্যায়ক্রমিক, যা ১৯৩০ সালে সীমিত আকারে শুরু হয়ে ১৯৫২ সালে সম্পূর্ণতা লাভ করে।